নিজস্ব প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বিশ্বাস ঘাতকের নির্মম শিকার হওয়ার পর আর রাজনীতি ছিলো না। কোনো রাজিনৈতিক নেতার হাতেও দেশ ছিলো না। শামরিক প্রধান ও সরকার প্রধানরা অবৈধভাবে দেশ চালিয়েছেন। কিন্তু শেখ হাসিনা একমাত্র নেতা যিনি রাজনীতি করা মানুষ। ছাত্ররাজনীতি থেকে শুরু করে অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে তিলে তিলে রাজনীতিতে পরিণত হয়েছেন এবং দেশকে ক্রমাগতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আজ বুধবার দুপুরে ধানমন্ডিতে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত স্বাস্থ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। এসময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার জাহাঙ্গীর কবির নানক, ত্রাণ-উপকমিটির সদস্য সচিব সুজিত রায় নন্দীসহ উপকমিটির অনেকে উপস্থিত চিলেন।
এস এম কামাল হোসেন বলেন, ১৯৭৫ এর পর একদল অরাজনৈতিক লোক ক্ষমতায় আসেন। তারা কখনো রাষ্ট্রপ্রধান হয়েছেন, কখনো সরকার প্রধান। কিন্তু রাজনীতিকে পিষ্ট করেছেন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার পর কিছু পথভ্রষ্ট, পাকিস্থানপন্থী লোক নিয়ে দল গঠন করেন এবং তার ভাষ্য অনুযায়ী “রাজনীতিকে কঠিন করে” দিয়ে যান।
পরবর্তীতে সামরিক শাসন প্রয়োগের মাধ্যমে অরাজনৈতিক লোকদের নিয়েই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জাতীয় পার্টি গঠন করেন এবং রাষ্ট্র পরিচালনা করেন।
জিয়া এবং এরশাদ তাদেরকোনো রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ছিলো না। মূলত তারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে দেশের রাজনীতিকে অনেকদিনের জন্য পিছিয়ে দেন। একিধারাবাহিকতায় কোনো প্রকার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ছাড়াই বিএনপির চেয়ারপার্সন হোন বেগম খালেদা জিয়া। তাদের কারও সরকার ও রাজনীতির প্রতি কমিটমেন্ট না থাকায় এদেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।
কিন্তু শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে জনগণের রায় নিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে রাজনীতিকে মূল ধারার নিয়ে আসেন। এবং দেশকে বিশ্বের কাছে অন্যন্য পর্যায়ে উপস্থাপন করেন। যা আজও অব্যাহত আছে।
এস এম কামাল বলেন, বর্তমানে রাজনীতিবিদ ও আমলাসহ সকলেই যার যার অবস্থানে থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন। এটি সম্ভব হয়েছে একমাত্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য।
##
Leave a Reply