৫০ কেজির পেঁয়াজের বস্তা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০ টাকায়। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ পচে যাওয়ায় এমন দুরবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গাড়ি ভর্তি করেও ফেলে দেওয়া হচ্ছে ডলারে কেনা পচে যাওয়া এসব পেঁয়াজ। এতে করে কোটি কোটি টাকা লোকসান গুন্নতে হচ্ছে আমদানি কারকদের।
খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, প্রত্যেকটি আড়তের সামনে শত শহত বস্তা পচা পেঁয়াজ পড়ে আছে। রপ্তানিকারক দেশ থেকে জাহাজে পেঁয়াজ ভরার সময় কন্টেইনার সংক্রান্ত অসাবধানতার কারণেই এমনটা ঘটছে বলে জানিয়েছেন খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা।
বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, পেঁয়াজ পচে যাচ্ছে কারণ মাল ঠিকমতো ডেলিভারি হচ্ছে না। আর হুট করে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে যাওয়াও একটি বড় কারণ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমাদের ২০ শতাংশ টাকাও উঠে আসবে না। কিছু কিছু পেঁয়াজত একেবারেই ফেলে দিতে হচ্ছে। এসব থেকে তো একটা টাকাও আসবে না।
পেঁয়াজের বস্তা থেকে পানি ঝরে পচে যাচ্ছে পেঁয়াজ। সেই সাথে ছড়াচ্ছে বিকট দুর্গন্ধ। আর এর থেকে উদ্ধার পেতে ৫০ কেজি পেঁয়াজের বস্তা বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা দরে।
কিছু কিছু ব্যবসায়ী জানান, পচা পেঁয়াজ ফেলে দিতেও উল্টো টাকা খরচ হচ্ছে। এতো লোকসানের উপর লোকসান।
এ অবস্থায় ক্ষতি সামাল দিতে সরকারের তদারকি বাড়ানোর দাবি ব্যবসায়ী নেতাদের।
ভারত রপ্তানি বন্ধের পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয় পেঁয়াজ। পাকিস্তান ও মিয়ানমারসহ নানা দেশের পেঁয়াজে ধরছে পচন।
Leave a Reply