গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা টেস্ট হয়েছে ১৮৪২৬, করোনায় আক্রান্ত ৩,৬৮৩ জন, নতুন মৃত্যু ৬৪ জন (সর্বোচ্চ)। হঠাৎ করে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে যাওয়া বাংলাদেশের দেশের জন্য অশনি সংকেত। বয়স বিবেচনায় মৃত্যু ৩১ থেকে ৪০ বছরের ০৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ২১ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের ১৬ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের ১১ জন, এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের ০৩ জন। এই পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে ৫১ থেকে ৬০ বছরের ব্যক্তিগণ বেশি মৃত্যু ঝুঁকিতে রয়েছেন। তবে কোন বয়সেই মৃত্যু ঝুঁকি মুক্ত নয়। তাই আমাদের আরো সতর্কতার সাথে স্বাস্থ্য-বিধি মেনে চলা আবশ্যক। ৬৪ জনের মধ্যে হাসপাতালে মৃত্যু বরন করেছেন ৫১ জন এবং বাসায় ১৩ জন। বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে জানা গেছে বাস্তবতা হল হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ এখন অনেক কষ্টসাধ্য। এই মুহূর্তে সংক্রামণ থেকে যাতে নিরাপদে থাকা যায় সে দিকে গুরুত্ব দেওয়া বেশি প্রয়োজন। ঘরে বসে থাকার মতো অবস্থাও এখন আর নেই, স্বাভাবিক কাজ কর্ম করেই সতর্কতার সাথে জীবন যুদ্ধে এগিয়ে যেতে হবে। অসতর্কতা ও অতি চাপ দুটোই মৃত্যুর ঝুঁকিতে প্রভাব ফেলে। বাইরে বের হলে দেখা যায় অনেকেই বিষয়টিকে কোন আমলেই নিচ্ছেন না, ফ্যাশন করে মাস্ক থুতনিতে ঝুলিয়ে রাখছেন, ইচ্ছে মত স্বাস্থ্য বিধি লঙ্ঘন করছেন। আবার কেউ কেউ করোনা নিয়ে এত টেনশনে আছেন যে ডিপ্রেশন ও বুকের ব্যথা বাড়িয়ে দিচ্ছেন। দুটোই আমাদের মৃত্যুর ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছে। তাই আসুন সতর্ক হই এবং বুকে সাহস নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করি।
লেখক: মো. মজিবুর রহমান, কর্মকর্তা, শিক্ষা-মন্ত্রণালয়।
Leave a Reply