বাংলাদেশে ‘আলোচিত’ নায়িকা পরীমনি এবং বোট ক্লাব সংক্রান্ত বিষয়টা এখন আইনের অধীনে আছে। এখন অপেক্ষা করার পালা প্রচলিত আইন অনুযায়ী কী সমাধান আসে। বাদী বিবাদীকে মামলা ফেইস করাই হবে উপযুক্ত কাজ। তা-ই হচ্ছে। কিন্তু আরেকদিকে ফেসবুক ও কিছু গণমাধ্যমে চলছে চরিত্র হননের মতো জঘন্য কাজ। বিবাদী নাসির ও অমির বিরুদ্ধেও হচ্ছে। তবে বেশি হচ্ছে পরীমনিকে নিয়ে। তার বাড়ি কীভাবে হলো, বিলাস বহুল গাড়ি কীভাবে হলো। ঘন ঘন বিদেশ যান কীভাবে। ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয় উঠে আসছে। অবশ্য এর জবাবও পরীমনি দিয়েছেন। গত ৩০ জুন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন পরীমনি। পরী ফেসবুকে বলেন, ‘‘তিনি ব্যাংক লোন নিয়ে একটি গাড়ি কিনেছেন। বনানীতে থাকেন ভাড়া বাড়িতে। তার সম্পদ নিয়ে যেসব তথ্য ছড়ানো হচ্ছে সবই বানোয়াট। আজ এসব নিয়েও লিখতে হচ্ছে ভাবতে কষ্ট হচ্ছে সত্যি। যখন বড় বড় সম্মানিত শিল্পীরাও পিছে রটানো গসিপ নিয়ে আমার দিকে আঙুল তুলতেও ছাড়লেন না আজ! একবার একটু জেনে নিতেই পারতেন চাইলে। যাই হোক, এসব এর একটু পরিত্রাণ দরকার এবার। আমার একটি মাত্র হ্যারিয়ার গাড়ি। যেটি ব্যাংক লোনে চলছে। এবং আমি একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে থাকি।
আমি আমার আয়ের হিসাব সরকারের কাছে অবশ্যই প্রদান করি। আমি নিয়মিত একজন করদাতা। আমার ১০ কোটি টাকার বাড়ি বা ৫/৪/৩ কোটি (যেমনটা আপনারা বানালেন আরকি) টাকার গাড়িও নেই। আপনারা দোয়া করবেন, আমাকে নিয়ে আপনাদের এই মহান উচ্চ আশা পূরণ করবো ইনশাআল্লাহ। মিথ্যা বা গুজব ছড়ানোর জন্য আপনারা কতোটুকু জয়ী হলেন ভেবে দেখবেন প্লিজ। – আপনাদের পরীমনি ’’
তার বাসায় সাজানো খালি মদের বোতল নিয়ে বিভিন্নজন সমালোচনা করেছেন। এরপর পরীমনি বলেছেন, আমার বাসায় কোরআন শরীফ ও জায়নামাজও আছে। সেটা কেনো দেখা হলো না?
বাস্তব কথা বলো টাকা রোজগার দোষের কী কিছু না। টাকা থাকা অন্যায় না। সেই টাকার সোর্স বা উৎস দেখে সরকার বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান খুশি থাকলে আমরা তো কাউকে দুর্নীতিবাজ বা চরিত্রহীন বলতে পারি না। নাসির, অমি ও পরীমনি তাদের প্রত্যেকের বিষয়টাই বিচারাধীন। আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না দেখে তাদের চরিত্র হনন অন্যায়। অপরাধও। আমাদের বোধহয় এ বিষয়ে ভাবার অবকাশ আছে যে, আমরা বাড়াবাড়ি করছি কিনা!
##
Leave a Reply